B

Wednesday, March 28, 2012

ফ্রি-ডাউনলোড করুন মোবাইল সফটওয়ার/থিম/গেম/ওয়ালপেপার ইত্যাদি।

আজকাল ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে অনেকে ইন্টারনেট থেকে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল সফটওয়ার ফ্রি ডাউনলোড লিংক খোজেন তাদের জন্য আমার দেয়া এই লিংকটি টিনকের মত কাজ করবে। http://gallery.mobile9.com/। এই সাইটে প্রবেশ করুন তার পর find dowdloads for অপশেনর ডান পাশে ক্লিক করে আপনার কাংখিত মোবাইল ব্র্যান্ড এবং মডেল সিলেক্ট করুন,ক্যটাগির সিলেক্ট করুন তার পর go এছাড়া এখানে মোবাইলের প্রয়োজিনয় অনক সফওয়ার/গেম/থিম/ওয়ালপেপার ইত্যাদি পাবেন।

নিমবাজ মোবাইল চ্যাট করার সফটওয়ার

মোবাইল ফোনে চ্যাট করার হার দিন দিন বাড়ছে।
জাভা, অথবা সিমবিয়ান সফটওয়্যার সাপোর্ট করে এমন মোবাইল ফোন সেটের জন্য আছে বেশ কিছু চ্যাট করার সফটওয়্যার। এসব সফটওয়্যারের মধ্যে জনপ্রিয় হলো নিমবাজ.........

এই সফটওয়্যার দিয়ে মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের চ্যাট সেবাগুলোতে অনলাইন থাকা যায় সব সময়। নিমবাজের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে ইয়াহু, এমএসএন, ফেসবুক, মাইস্পেস, এআইএম, স্কাইপি গুগলটকসহ বিভিন্ন তাৎক্ষণিক বার্তা আদান-প্রদানের সফটওয়্যারগুলো চালু রাখা যায়।এবং নিমবাজ ব্যবহারকারীরা ভয়েস চ্যাট করতে পারবে।
নিমবাজ ব্যবহার করতে হলে প্রথমে (www.nimbuzz.com)এই ওয়েবসাইট থেকে নিমবাজ সফটওয়ার ডাউনলোড করতে হবে। তার পর নিমবাজে একটি অ্যাকাউন্ট করে নিতে হবে। নিমবাজের মাধ্যমে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে বিভিন্ন ছবি, ফাইল ও ভিডিও আদান-প্রদান করা যায়। নিমবাজের মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার নিজের অবস্থান অন্য সবার সঙ্গে শেয়ার করতে পারবে এবং বন্ধুদের অবস্থানও নিমবাজের ম্যাপে বসাতে পারবে। নিমবাজের ফোনবুকে মোবাইলের ফোনবুকের কণ্টাক রাখা যায় ফলে মোবাইল হারালেও ফোনবুকের নম্বর হারানোর ভয় থাকে না। নিমবাজ মোবাইল ছাড়াও কম্পিউটার ও নিমবাজের ওয়েবসাইট থেকে ব্যবহার করা যায়। নিমবাজ বিনামূল্যে ডাওনলোড ও ব্যবহার করা যায়। এ জন্য ব্যবহারকারীকে কোনো পয়সা খরচ করতে হয় না।

সহজেই ফরম্যাট করুন নোকিয়া মোবাইল

অনেক সময় মোবাইল ব্যবহারের সময় ভাইরাস অথবা অন্য কারেন মোবাইল ফরম্যাট করার প্রয়োজন হয় (নোকিয়ার জন্য) সেক্ষেত্রে আমরা দুইভাবে ফরম্যাট করতে পারি।১. প্রথমে আপনাকে জানা থাকতে হবে আপনার মোবাইলের কোড নাম্বার। নোকিয়া মোবাইলের সাধারনত ডিফল্ট কোড ১২৩৪৫ হয়ে থাকে। এবার আপনার মোবাইলে বাটন *#৭৩৭০# চাপুন ................
এর পর আপনার কাছে কোড নাম্বার চাইবে তখন 12345 কোড টাইপ করতে হবে। টাইপ করা হয়ে গেলে মোবাইলটি অটোমেটিক রিষ্টার্ট হবে। ২. যদি আপনি আপনার মোবাইলের কোড যানা নেই অথবা কেউ পরিবর্তন করেছে এ ক্ষেত্রে আপনাকে আপনার মোবাইলটি বন্ধ করতে হবে।এখন আপনার মোবাইলের বাটন ৩*ইয়েস বাটন,পাওয়ার সুইচটি একত্রে চেপে ধরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।যদি বাটন গুলো সঠিক ভাবে কাজ করে থাকে তাহলে মোবাইলের স্ক্রিনে এক পাশ থেকে কালো হয়ে আসছে এবং মাঝ খানে লেখা আছে Format এ ধরনের কিছু এলে বুঝতে হবে আপনার মোবাইলটি ফরম্যাট হচ্ছে।

Friday, March 9, 2012

chat থেকে আয়

আপনারা যারা chat করে থাকেন তাদেরকে এমন একটি সাইটের কথা বলব, যেখানে free registration করে chat করলে কিছু আয় হয়ে থাকে।তাহলে উপরের Birejji এ্যাডে ক্লিক করে registration করে, chatশুরু করুন। সাইটে প্রবেশ করলেই বিস্তারিত জানতে পারবেন।

facebook থেকে আয়

এটা সত্যিই যে আপনার একটা ফেসবুক ACCOUNT থাকলে আপনি খুব সহজেই ফেসবুক থেকে কিছু টাকা আয় করতে পারেন।এজন্য আপনার বিষেষ কিছুই করতে হবে না শুধু এখানে প্রবেশ করে আপনার ফেসবুক ACCOUNT টিতে LOG IN করুন। LOG IN করলে “EASYCASH “নামে একটি APPLICATION আসবে, এরপর “ALLOWED” নামে একটি অপশন দেখবেন।এখানে “ALLOWED” এ ক্লিক করুন এবং  কন্টিনিউ করুন তাহলেই এটি আপনার ACCOUNT এ যোগ হয়ে যাবে।আর বোনাস হিসাবে আপনি পাবেন $1

আর প্রতিবার ফেসবুকে লগইন করে “EASYCASH “পেইজ এ প্রবেশ করলেই পাবেন $0.01

“ALLOWED” করার পর আপনি একটা PAGE দেখতে পাবেন এখানে আপনার বন্ধুদের “EASYCASH APPLICATION” এ যোগ দেওযার জন্য রেফার করতে বলা হবে। এখান থেকে আপনি আপনার বন্ধুদের রেফার করতে পারবেন। আপনার অনুরোধে যদি আপনার বন্ধুরা এই EASYCASH APPLICATIONএ যোগ দেন তাহলে আপনি প্রতি রেফারের জন্য পাবেন $0.01 । আর “ALLOWED” করলেই যেহেতু সবাইকে $1 বোনাস দেওযা হয়। তাই প্রতিবার আপনার আমন্ত্রনে কউ যোগ দিলে সাথে সাথেই আপনি পাবেন $0.01। আর $5 হলেই PAYPAL এর মাধ্যমে PAYOUT করতে পারবেন।
এটা মূলত পিটিসি সাইটে আয় করার মতই একটি ব্যবস্থা।এখানে যত রেফারেল বাড়াতে পারবেন ততো আয় হবে।যারা খুব তাড়াতাড়ি আয় করতে চান তাদের জন্য টিপস হচ্ছে আপনারা ফেসবুকের বিভিন্ন মানিমেইকিং গ্রুপে যোগ দিয়ে সেখানে এই বিষয়ে কিছু লিখে আপনার রেফারেল লিংকটি সেখানে দিয়ে দিবেন এতে আশা করা যায় রেফারেল এর সংঙ্কা বৃদ্ধি পাবে।আর আপনার বন্ধুরা তো আছেই।এখন হয়তো ভাবছেন এই গ্রুপ গুলি কিভাবে পাবেন,ফেসবুকের সার্চএ MAKE MONEY, EARN MONEY ইত্যাদি লিখে সার্চ দিন তাহলেই পাবেনI এভাবে চেষ্টা করলে দেখবেন কিছুদিনের মধ্যেই আপনার $5 পার হয়ে যাবে।আর এখান থেকে সত্যিই PAYOUT করা যাবে সে বিষয়ে 99% নিঃশ্চিত থাকতে পারেন।

microworkers থেকে আয়

ফ্রিল্যান্সিং করে কাজ করার কথা আমরা অনেকেই শুনেছি কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে নতুন ফ্রিল্যান্সার হলে সফলতা পেতে কিছু সময় লাগে । কারণ, এসব সাইটে একটি কাজের জন্য অনেকেই বিড/আবেদন করেন। বায়ার শুধুমাত্র একজনকে নির্বাচিত করেন। এক্ষেত্রে নুতন ফ্রিল্যান্সারদের কাজ পেতে বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হয়। অনেকে ধৈর্য হারিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ছেরে দেন। (অবশ্য সঠিক গাইডলাইন ও আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকলে এসব সাইটেও সফল হওয়া সম্ভব) অনেকেই আবার মনে মনে ভাবেন ইস্, যদি বিড ছাড়াই কাজ পাওয়া যেত !!! হ্যাঁ, আজকে আপনাদের সামনে এমনই একটি মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে বলব, যেখানে কাজ পেতে কোন বিড করতে হয় না।
যে কোন মূহু্র্তে ফ্রি রেজিস্ট্রেশন করে কাজ শুরু করে দিতে পারেন। উপরোন্ত, উক্ত সাইটে সাইন আপ করলেই পাবেন ১ ডলার। সাইটটির নাম http://www.microworkers.com, এটি অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য একটি সাইট। বাংলাদেশের অনেকেই এ সাইটে সফলতার সাথে কাজ করে হাতে টাকাও পেয়েছে।

সাইটের কাজগুলো ছোট ছোট ও খুবই সহজ। ডাটা এন্ট্রি টাইপের কাজ। খুবই অল্প সময়ে আপনি উপার্জন করতে পারেন ভাল পরিমান কিছু অর্থ, যা আপনাকে লক্ষ লক্ষ টাকা এনে দিতে না পারলেও যারা নুতন ফ্রিল্যান্সার, এখনও কম্পিউটারের বিভিন্ন কোর্সে পরিপূর্ণ দক্ষ হতে পারেননি, তারা অনলাইন আয়ের জগতে কিছুটা পদচারণা শুরু করতে পারেন। আর এখানে মোটামুটি পরিশ্রম করলেই আপনার সফলতার সম্ভাবনা ... ... ...

নিয়মাবলী:
১. একটি কাজ মাত্র একবার করতে পারবেন, তবে প্রতিদিন পাবেন নতুন নতুন অনেক কাজ।

২. প্রতিটি কাজের সাথে দেয়া থাকবে নির্ধারিত সময়, যে সময়ের মধ্যেই আপনার কাজকে সমাপ্ত করতে হবে।

৩. প্রথমে ৫টি কাজ করে আপনার সফলতা যদি ৭৫% এর নিচে থাকে তবে আপনি ১-৩০ দিনের মধ্যে কাজ করতে পারবেন না।

৪. আয়ের পরিমান ৯ ডলার পূর্ন হলেই চেক, মানিবুকার্স, পেপাল এবং এলার্টপে এর মাধ্যমে টাকা তোলা যায়। এক্ষেত্রে গুগল এ্যাডসেন্সের মত আপনার ঠিকানাকে প্রথমে ভেরিফাই করা হবে একটি পিন নম্বর পাঠানোর এর মাধ্যমে। যা পরবর্তীতে সাইটে জমা দিতে হবে।

৫. টাকা উত্তোলনের সময় চেকের ক্ষেত্রে ৪.৫০ ডলার, পেপালের ক্ষেত্রে ৬%, মানিবুকার্স এবং এলার্টপে পদ্ধতিতে ৬.৫% ফি দিতে হয়।

৬. সাইটে যে কাজ করবে সে Worker এবং যে কাজ দিবে তাকে Employer হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

৭. সাইটে কাজ করতে প্রথমে আপনাকে রেজিষ্ট্রেশন করে করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশনের জন্য ক্লিক করুন।

কার্যাবলী:
১. লগইন করে সাইটে প্রবেশ করুন।

২. যদি আপনি নতুন ইউজার হন তবে নিউ বাটনে ক্লিক করে নতুনদের জন্য নির্ধারিত কাজগুলো ওপেন করুন।

৩. কাজের বিস্তারিত বর্ননা দেখতে নিচের কাজগুলো থেকে যেকোন একটি কাজে ক্লিক করুন।

৪. এখানে পূর্বে কত জন কাজটি নিয়েছে, কাজটি করতে কত সময় লাগবে, কাজটি সফলভাবে করতে পারলে কত পরিশোধ করা হবে, ইত্যাদি সম্পর্কে শুরুর দিকে বলা হয়েছে।

৫. কিভাবে কাজটি করতে হবে এ সম্পর্কে পুরো ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে “What is expected from workers?” অংশে। মূলত এখানে কাজের বিস্তারিত বর্ননা করা হয়েছে, যা ভালভাবে বুঝে কাজটি সমাপ্ত করতে পারব এরকম মনে হলে “I accept this job ” নিচের অপশনে ক্লিক এর মাধ্যমে কাজটি নেয়া যাবে। “I accept this job” এখানে ক্লিক করলে একটি ঘর পাওয়া যাবে যেখান কাজের সত্যতার প্রমান সাবমিট করতে হবে। আর এই সত্যতার প্রমান দিতে হবে Employer এর ইচ্ছে অনুযায়ী, যেটি সে জানিয়ে দিয়েছে “Required proof that task was finished?” এই অংশে। কাজটি করতে পারব না এমন মনে হলে Not interested in this job ক্লিক করে বের হয়ে আসুন।

কাজের ধরন:
১. Signup: এ কাজটি অত্যন্ত সহজ একটি কাজ। এখানে একটি সাইটের ঠিকানা দেয়া থাকবে সেখানে গিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। ব্যাস কাজ শেষ, তবে আমাদের দেশে বেশিরভাগ শেয়ারিং আইপি ব্যবহৃত হয় বলে কাজটি সমাপ্ত করতে সমস্যা হতে পারে। আপনার আইপি দেখে নিন।

২. Twitter: টুইটারে যদি আপনার একটি একাউন্ট থাকে তবে আপনি এক্ষেত্রে কাজ করতে পারবেন। হতে পারে আপনার টুইটার পেজে একটি রিভিউ লিখতে হবে । পাশাপাশি তাদের একটি লিংকও রিভিউ এর মধ্যে দিতে হতে পারে। তবে সবটাই নির্ভর করবে Employer এর চাহিদার ওপর।

৩. Blog/Website Owners: আপনার যদি একটি নিজস্ব ওয়েব সাইট থাকে এবং আপনি যদি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর article লেখার জন্য যোগ্যতা সম্পন্ন হয়ে থাকেন তবে আপনি এ কাজটি খুব সহজেই করতে পারবেন। আর একটি ৫০ শব্দের আর্টিকেল লিখে পেতে পারেন $0.25 – $0.80 ডলার।

৪. Text-link required: এ কাজটি করতেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজস্ব ওয়েব সাইট দরকার হয়ে থাকে। তবে কাজটি অত্যন্ত সহজ। Employer এর চাহিদা অনুযায়ী আপনার সাইটে একটি লিংক ব্যবহার করলেই কাজ শেষ। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ Employer PR1 কিংবা তার ওপরে অবস্থানকৃত সাইট চায়। দেখে নিন আপনার সাইটের পেজ র‌্যাংক ক্লিক করুন।

৫. Yahoo Answers: ইয়াহু এর একটি সাইট হচ্ছে ইয়াহু এ্যান্সার। এখানে বিভিন্ন প্রশ্নের এ্যান্সার করে লেভেলকে বৃদ্ধি করা যায়। সাধারনত Employer এ কাজের জন্য লেভেল টু আছে এমন ব্যক্তিদের খোঁজ করে। এখানে প্রশ্নের answer এর মধ্যে Employer এর নির্দিষ্ট লিংক দিতে বলা হয়।

৬. Forums: এক্ষেত্রে একটি ফোরাম সাইট খুঁজে বের করতে হবে। তবে সাইটের বিষয়বস্তু অবশ্যই Employer বলে দিবে। এই সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে তাদের একটি লিংক Signature হিসেবে ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি কিছু কমেন্টও লিখতে হতে পারে।

পরামর্শ:
১. একটি কম্পিউউটার থেকে একটি একাউন্ট করাটাই ভাল।

২. কখনো ৫টি কাজে সফলতার হার ৭৫% এর নিচে নেমে গেলে দু-চার দিন অপেক্ষা করে আবার চেষ্টা করা যেতে পারে।

৩. যে সকল কাজে আইপি এড্রেস দিতে হয় বা এক আইপি থেকে দুবার ব্যবহার করা যাবে না সে সব কাজ না করাই ভাল যেমন: sign up। কারন, আমাদের দেশে টেলিকম এর মাধ্যমে ব্যবহৃত ইন্টারনেট এর আইপি শেয়ারিং করা হয়ে থাকে।

উপরের সকল বিষয়গুলো ভালভাবে বিবেচনা করে যদি কাজ শুরু করেন তবে অবশ্যই একটা ভাল ফলাফল পাবেন।

এই সাইটের কাজের রেট $০.১০ থেকে $৩.০০ পর্যন্ত যদিও এর কোন লিমিট সাইট কতৃপক্ষ ধরে দেয়নি তবে কাজগুলো ধরনই এমন যে রেট বেশী হয় না। বেশীরভাগ কাজই $২ ডলারের নিচে পাবেন। তাই এই সাইট থেকে আপনি অনেক আয় করতে পারবেননা। তবে যেহেতু আমরা ফ্রিল্যান্সার তাই আয়ের কোন অংশই আমরা ছাড়তে রাজি না যদি বুঝতে পারি সাইটটি থেকে অর্থ পাওয়া যাবে। এই সাইটটি খুব একটা পুরাতন নয় তবুও আমাদের দেশ থেকে অনেকেই এই সাইট থেকে আয় করেন। তবে একেবারে খারাপ না। আপনি যদি বুঝে রেগুলার এখানে কাজ করে থাকেন তাহলেও মাসে এই সাইট থেকেই $৫০ থেকে $২০০ আয় করতে পারবেন। আর যারা অনলাইন আয়ে একেবারে নতুন তারাও অন্তত তার মাসের ইন্টারনেট বিলটা সাথে মোবাইল বিলটাও এই সাইট থেকে আয় করতে পারেন। যাদের একাধিক গার্লফ্রেন্ড আছে তাদের মোবাইল বিলের ব্যাপারে আমি সিউরিটি দিতে পারছিনা।
তবে যারা অন্যান্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটথেকে আর্ন করছেন কিংবা ৩/৪টা কাজ করেছেন কিন্তু এখানো কাজ পাচ্ছেননা তারা এই সাইটকে অত গুরুত্ব না দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের অন্যান্য সাইটে বেশী সময় দেন। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সার এবং ওডেস্কে। এসব যায়গায় আপনি হয়তো একটি কাজেই আয় করতে পারবেন $৩০০ থেকে $৫০০। এর পর হাতে সময় থাকলে এই সাইটে কাজ করতে পারেন। তবে নতুনদের জন্য তো বটেই পুরোনোদের জন্যও এই সাইটে অনেক শিখার বিষয় আছে। এখানে কাজের মাধ্যমে আপনি অনেক কিছুই শিখতে পারবেন যা অনলাইন আয়ের ক্ষেত্রে আপনার নিজেরও অনেক কাজে লাগবে। অনলাইন আয়ের মার্কেটিংয়ের সকল ক্ষেত্রেই এই সাইটে কাজ পাওয়া যায়। এতে আপনি নিজেই কাজটি শিখলেন আর প্রতিদিন অনলাইন মার্কেটিয়েংর নতুন নতুন পদ্ধতি জানতে পারলেন। হাতে কলমে যে সকল কাজ করা হয়, সেসব জায়গায় দেখা যায় প্রথম প্রথম লোকজন বিনা বেতনে চাকুরি করে। তার আসলে প্রথমে টাকার প্রয়োজন নেই কিন্তু কাজটা শিখা প্রয়োজন। আর এই সাইটে কাজ শিখার পাশাপাশি আমরা বাড়তি আয়ও করার সুযোগ পেয়েছি।
তো এখান থেকে শুরু করুন http://migroworkers.comhttp://migroworkers.com তারপর এন্টার চাপুন। কিছুক্ষনের মধ্যেই আপনি পৌঁছে যাবেন মাইক্রোওয়ার্কাস সাইটটিতে। সাইটটি কিছুক্ষনের জন্য দেখুন। প্রথমেই আপনার চোখে পড়বে এর সাদামাটাভাব। সাইটটির প্রথম পেজে যা তথ্য আছে তাতে সাইটটিতে কি হয় তা এক নজরে বুঝা যায়। সাইটটিকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১) Employers যার শেস্নাগান হচ্ছে post a micro job:
নাম শুনেই আপনারা নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন এটার কাজ কি? হাঁ আপনি নিজেই এখানে অনলাইন মার্কেটিংয়ের যে কোন কাজ দিতে পারবেন যা এই সাইটের ওয়ার্কাসরা সম্পন্ন করবে।
২) Workers যার যার শেস্নাগান হচ্ছে get paid to do micro jobs: অর্থাৎ এখানে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কাজ করে টাকা আয় করুন। আমাদের মূল লক্ষ হচ্ছে এটি।
চলুন যটপট সাইটটির সদস্য হয়ে যাই। সাইটটিতে রেজেস্ট্রেশন করা একদম সহজ। যারা ফেসবুকে একাউন্ট করতে পারেন তারা নিজে নিজেই এখানে একাউন্ট করতে পারবেন। ফেসবুকের কথা যখন আসলই তাখন বলে রাখি সবাই ফেসবুকে আজই একটি একাউন্ট খুলে রাখুন এবং বন্ধু তৈরীতে ঝাঁপিয়ে পড়ুন। বর্তমানে আপনার আসল বন্ধুরা কোথায় আছে তা না খুঁজে ডিজিটাল বন্ধু তৈরী করুন অন্তত ৫,০০০ বন্ধু। আপনার আসল বন্ধুরা কাজে না আসলেও এই ফেসবুকের ডিজিটাল বন্ধুরা অনেক কাজে আসবে।
কি ভাবছেন? এই যুগে ইন্টারনেট চালায় আর ফেসবুক একাউন্ট নেই এমন লোক আছে? তাহলে আমি খামাখা কেন ফেসবুক একাউন্টের কথা বলতেছি। পরিস্কার করে বলি- আপনার যদি ফেসবুক একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে সেখানে নিশ্চয়ই আপনার ফ্যামিলি ম্যাম্বার, আপনার সত্যিকারের ফ্রেন্ড, অন্তত মোবাইল যুগের কিছু মোবাইল মার্কা ফ্রেন্ড কিংবা আপনার শুভাকাঙ্খি রয়েছে। তাদের বিরক্ত করতে না চাইলে নতুন আরেকটা একাউন্ট খুলুন। এখানে যাকে পান তাকেই ধরে বন্ধু বানান।
মাইক্রোওয়ার্কাসের ওপেন করা পেজটির উপরের ব্যানারের নিচে মাঝখান থেকে Register for free বাটনটিতে ক্লিক করুন। এখানে রেজেস্ট্রেশন করা একদম ফ্রি, রেজেস্ট্রেশন করলে অপনার একাউন্টে তারা $১ ডলার জমা করে দিবে (আপনার ব্যাংক একাউন্ট নয়, মাইক্রোওয়ার্কাসের একাউন্টে)।
পরের পেজটিতে আপনার একাউন্ট তথ্য দেন। প্রথম ঘরে আপনার পুরো নাম দিন। ই-মেইল-এর ঘরে আপনার ইমেইল এড্রেস দিন। তারপরের ঘরে সাইটটির জন্য একটি পাসওয়ার্ড দিন (অবশ্যই আপনার ইমেইল পাসওয়ার্ডের চেয়ে ভিন্ন পাসওয়ার্ড দিবেন)। তারপর কান্ট্রি অব রেসিডেন্স ঘরে বাংলাদেশ সিলেক্ট করে Submit বাটনে ক্লিক করুন।


পরের পেজটি একটি কনফার্মেশন পেজ এখানে লেখা আছে যে আপনার ইমেইল একাউন্টে একটি ভেরিফিকেশন ইউআরএল পাঠানো হয়েছে ইমেইল যাচাইয়ের জন্য। আপনি যদি ইমেইলটি না পেয়ে থাকেন তাহলে স্পাম অথবা বাল্ক ফল্ডারে খুজ্বেঁ দেখুন।



ইমেইলটি ওপেন করুন। দেখুন ক্লিক হেয়ার এর নিচে একটি লিংক দেওয়া আছে। লিংকটিতে ক্লিক করুন। ব্যাস আপনার একাউন্ট হয়ে গেছে। দেখুন সাইটের উপরের ব্যানারের নিচের দিকে কিছু তথ্য আছে। বামদিকে পর্যায়ক্রমে আপনার নাম, ইমেইল এড্ড্রেস এবং আপনার আয়ের ব্যালেন্স দেখাচ্ছে। ব্যালেন্সের ঘরে তাদের কথা মত ৳১ডলার জমা হয়ে গেছে। দেখুন অনলাইনে আয় কত সহজ, আপনি তাদের সদস্য হয়েছেন বলে তারা আপনাকে অর্থ দিচ্ছে। আর ডানদিকের তথ্যগুলোর অর্থ আপনি কিছুক্ষন পরে বুঝবেন।


এখানে কিছু করার পুর্বে সাইটটির মেনুবার থেকে My Account মেনুটিতে ক্লিক করুন। ওপেন হওয়া পেজটিও দুটি ভাগে ভাগ করা। বাম পাশে কন্টাক্ট ডিটেইলস এবং ডানদিকে ইমেইল এড্ড্রেস এবং পাসওয়ার্ড আছে। বামদিকে একটু উপরে দেখুন আপনার ফ্রি পাওয়া $১ দেখাচ্ছে এবং তার নিচে লাল রংয়ে লেখা আছে Address not yet submitted এবং কন্টাক্ট ডিটেইলস ঘরে শুধু আপনার নাম এবং দেশের নাম আছে। বাকি তথ্য দেওযার জন্য লাল রংয়ের লেখার পাশে Edit Address লেখা লিংকে ক্লিক করুন। পরের পেজটি এড্ড্রেস এডিট করার পেজ। এখানে আপনার পুরো ঠিকানা দিন যে ঠিকানায় আপনি চিঠি গ্রহন করতে পারেন। কারন এখান থেকে আয়ের টাকা প্রথম তোলার সময় তারা আপনার ঠিকানায় পিন নাম্বার সহ একটি চিঠি পাঠাবে।
আপনার একাউন্ট রেডি হয়ে গেছে। এবার কাজের সময়। তাই কথা না বাড়িয়ে কাজ শুরু করে দেই-
Available jobs: আমি আগেই বলেছি সাইটটির আউটলুকিং সাদামাটা। আপনি এর সবকিছু সহজেই বুঝতে পারবেন। অনলাইন আর্নিংয়ে একদম নতুন যারা তারাও এখানে কাজ করতে পারে শুধুমাত্র এর সহজ উপস্থাপনার জন্য। কাজ শুরু করার জন্য Available jobs মেনুটিতে ক্লিক করুন। এখানে বর্তমানে চলতে থাকা আর আপনার জন্য প্রযোজ্য কাজের একটা লিস্ট আছে।
এই পেজটির প্রথম দিকে বর্তমানে কতটি কাজ আছে তা দেখাচ্ছে। ডান কলামের ছবিটিতে দেখুন ৫৮টি কাজ রানিং আছে বলা আছে। তার নিছে একটা সাবধান বানী আছে যে, আপনি শুধু সেই কাজগুলোই একসেপ্ট করবেন যে কাজ গুলি করা আপনার পক্ষে সম্ভব। এসাইটে আপনার কাজের দুইটি ফলাফল পাওয়া যায়। হয় কাজটিতে আপনি সফল হবেন অথবা আপনার কাজটি ভুল হবে। কাজটি সঠিক ভাবে সম্পন্ন হলে বায়ার আপনাকে সেটিসফাইড মার্ক দিবে আর আপনার একাউন্টে কাজের পারিশ্রমিক যোগ হবে। আপনার কাজটি সঠিক না হলে বায়ার আনসেটিসফাইড মার্ক দিবে। আনসেটিসফাই মার্ক কে আমি বলি লাল কার্ড। আর এরকম তিনটি মার্ক পেলে অর্থাৎ তিনটি লাল কার্ড পেলে আপনার একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাবে। এবং আপনার উপার্জিত টাকা আর পাবেন না। তাই আপনি বুঝে শুনে কাজ করবেন। শুধু মাত্র যেসকল কাজ আপনি পারবেন সে গুলিই ধরবেন। আর এই সাইটথেকে আর্নিয়ের যে ধারনাটি দিলাম তার লক্ষ মাত্রায় পৌঁছার জন্য আপনাকে সব কাজ করার প্রয়োজন হবে না। আজকে আমার লিস্টে আছে ৫৮টি কাজ। প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৯০+ কাজ থাকে এখানে। কাজের রেট গুলি $০.১০ থেকে শুরু করে $২+ থাকে। আপনি যদি গড়ে দিনে ৩০টা কাজ করেন তাহলে গড়ে সম্ভবত এর রেট পড়বে $০.২৫+ তাহলে আপনি গড়ে দিনে $৭.৫+ করে মাসে $২২৫ ইনকাম করতে পারেন। সত্যি কথা বলতে কি আমি যখন চাকরি করতাম তখন এরচেয়ে কম বেতন পেতাম। তাই বলে অতিউৎসাহিত হয়ে এখনি চাকরি ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই। অনলাইন আর্নিয়ের একটা বড় সমস্যা হচ্ছে লোকজন কাজের কনসেপ্টটা ক্লিয়ার না হয়ে আয়ের ব্যাপারে আগে ক্লিয়ার হয়। তাই ধুম করে চাকরি ছেড়ে দিয়ে বিপদে পড়ে যায়। আর অনলাইন আর্নিংয়ের ক্ষেত্রে একটি শব্দ প্রায় দেখবেন করপশ Kick your Boss। এটা বিজ্ঞাপনের একটি ভাষা। এটা দেখে আপনি যদি আপনার বসকে কিক করে বসেন তাহলে কি অবস্থা হবে? তাই ভদ্র ভাবে আমরা বলে থাকি বসকে সালাম দেওয়া। আর যদি আপনি ভালবাবে বুঝে শুনে কাজ করতে পারেন। তাহলে শীগ্রই আপনার বস আপনার কাছ থেকে এরকম একটা সালাম পাবেন।
সাবধানতা বানীটির নিচে তিনটি বাটন আছে। প্রথমটি হচ্ছে most paying এই বাটনটিতে ক্লিক করলে যে কাজগুলির পারিশ্রমিক বেশী সেই অনুযায়ী লিস্টটি সিরিয়াল করা হয়। পরের বাটনটি latest এই বাটনে ক্লিক করলে নতুন আসা কাজ গুলি লিস্টের উপরের দিকে থাকবে। পরের বাটনটি হচ্ছে rating এই বাটনে ক্লিক করলে যে কাজগুলির রেটিং বেশী সেই কাজগুলি লিস্টের উপরের দিকে অবস্থান করবে। ডিফল্ট অবস্থায় most paying সিলেক্ট করা থাকে। আজ এ পর্যন্তই বাকিট আগামী সংখ্যায় তাবে আপনি নিজে নিজে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।